শবগুজারির ফাজায়েল

দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতের মধ্যে শবগুজারি বহুতই গুরুত্ত্বপূর্ন একটি আমল। তাবলীগের পাঁচ কামের মধ্যে শবগুজারি নাই। তবে শবগুজারির মধ্যে পাঁচ কাম আছে। শুধু পাঁচ কামকেই তাবলীগ বলা হয় না, এছাড়া আরও অনেক বিষয় আছে যেমন টঙ্গী ইজতিমা, পাচ দিনের জোড়, ত্রৈমাসিক জোড় ইত্যাদিও বহুতই গুরুত্ত্বপূর্ন আমল। ঠিক তেমনি শবগুজারিও গুরুত্ত্বপূর্ন। শবগোজারি হলো একটি আমলী পরিবেশ। এখানে আছর, মাগরিব ও ফজরের বয়ান হয়। বিদেশী মেহমান ও অনেক ওলামায়ে কেরাম আসেন। সাল, চিল্লা, তিন চিল্লা ও দিনের জামাতের  খুরুজ হয় এখান থেকে।

শবগুজারি শব্দটি উর্দু ভাষা থেকে এসেছে। শব (شب) অর্থ রাত্রি আর গুজার (گزر) অর্থ অতিবাহিত হওয়া / পার হওয়া। সেই হিসেবে শবগুজারি অর্থ রাত্রি অতিবাহিত করা বা রাত্রি কাটানো। দাওয়াত ও তাবলীগের সাথীরা আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একটি মসজিদে একত্র হয়ে আছর থেকে এশরাক পর্যন্ত বয়ান, তালিম, তাকাজা, দুয়া, তাহাজ্জুদ, জিকিরের মাধ্যমে রাত্রি অতিবাহিত করে। এই আমলকেই শবগুজারি বলা হয়।

আমাদের বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শবগুজারি সাধারনত বৃহস্পতিবারে হয়। তবে কিছু দেশ এর ব্যাতিক্রম রয়েছে। সেসব দেশে অন্যান্য বারেও শবগুজারি হয়। বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদসহ বিভাগীয় শহর, জেলা ও থানা পর্যায়ের মার্কাজ ও শবগুজারি পয়েন্ট গুলোতে বৃহস্পতিবার আছর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শবগুজারি আমল হয়।

 

শবগুজারির ফাজায়েল

১। জনৈক বুজুর্গ বলেন, কোন লোক যদি অন্য কোন আমল না করে শুধু শবগোজারি করে তবে সে তবলীগ ছাড়তে চাইলেও ছাড়তে পারবে না।

২। শবগুজারিতে মসজিদওয়ার সব সাথী খানা বিছানা সহ আসবে। খানা বিছানা নিজে তৈয়ার না করে বিবি মেয়েদেরকে দিয়ে তৈয়ার করাবে। একটি হাদীসের সারাংশ যে ব্যক্তি জিহাদের সামানা তৈয়ার করে দেয় সে যেন জিহাদের সমান সওয়াব পায়। যে মেয়ে আজ বাপের বিছানা বাধছে বিয়ের পর সে স্বামীর বিছানা বাধবে। একটি রশি আগায়ে দিয়ে হলেও যেন শরীক থাকে।

৩। মাও. ইসুফ (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি শবগোজারি করবে আল্লাহপাক তাকে ঈমানের স্বাদ চাখায়ে দিবেন।

৪। সোলইমান ঝানঝী (রহঃ) বলেন, শবে জুুমার ফজীলত শবে ক্বদরের চেয়েও বেশি। যে ব্যক্তি শবে জুমার আমলে জুড়লো সে যেন আল্লাহতায়ালার রহমতের দরিয়ার মধ্যে রূহানী গোসল করলো।