কাকরাইলের চিঠি জানুয়ারি ২০১৯
বিইসমিহি তায়ালা
মোহতারামীন ও মোকারামীন আহলে শুরা হাযরাত ও জিম্মাদার সাথীগণ- সকল জিলা
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
তারিখ: ১৫/০১/২০১৯
উম্মিদ হয় আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের ফজল ও করমে আফিয়াতের সাথে আছেন, এ কথা বলার আপেক্ষা রাখেনা যে আজ দাওয়াতের এই মহান কাজ বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্বে এক চরম সংকটপূর্ণ হালাতের ভিতর দিয়ে গুজরাইতেছে। যে মেহনতের দ্বারা হাজারও মানুষ আল্লাহকে চিনতেন, আখেরাতের বুঝ পয়দা হইত, নবীওয়ালা আখলাকের প্রয়াস ঘটতো, আজ সেখানে আপোষের মধ্যে শুধু বিরোধই নয় কাকরাইল ও টংগীর ময়দানের মত পবিত্র জায়গায় মারামারি ও রক্তাক্তের দৃশ্য দেশ ও দুনিয়ার লোক ঘৃনাভরে দেখেছে। যুগে যুগে দ্বীন ও দ্বীনের মেহনতের মধ্যে আল্লাহপাক বিভিন্ন হালত এনেছেন মোখলেছীনদের কদমকে জমানের জন্য ও আগরাজ ওয়ালাদের পর্থক্য করার জন্য। হালাত কখনই চিরস্থায়ী হয়না, এটা গুজরায় যায়। তাই বিভিন্ন হালাতে কামকরনে ওয়ালা সাথীদের জন্য হালতেকে পরিবর্তন কারী একমাত্র সত্ত্বা আল্লাহপাকের দিকে মোতোয়াজ্জে হয়ে সীরাতের আমল সমুহেকে এখতিয়ার করার মধ্যই কমিয়াবী।
মওলানা মোহাম্মাদ ইউসুফ ছাহেব (রঃ) ফরমান, রসূলে পাক (সা:) এর ওফাতের পর এই উম্মতের উপর রোম পারস্যের, মুরতাদদের ও ভন্ড নবীদের পক্ষ হতে যে চরম হালত এসেছিলো, একমাত্র খলিফায়ে রসূল (সা:) হযরত আবুবকর (রা:) সবকিছুকে উপেক্ষা করে দৃঢ়তার সাথে হযরত উসামা (রা:) জামাতকে রওনা করেন ও “খুরুজ-ফি-সাবিল্লিাহ্” উপর আম ভাবে আমালের দ্বারা দুই বছরের মধ্যে আল্লাহপাক হালতকে পরিবর্তন করে দেন। তাই কাকরাইলের পরামর্শে সকল সাথী এই ব্যাপারে এক মত হয়েছেন যে, ইজতেমাকে সামনে নিয়ে যে সমস্ত জামাত আল্লাহ রাস্তায় বের হওয়ার কথা ছিলো, ইজতেমার তারিখ এর পরিবর্তন বা অন্য কোন কারনে খুরুজের মধ্যে বিন্দুমাত্র বাধা না পড়ে, তাই সকল জিম্মাদার সাথী থানা ইউনিয়ন ও শহরের হালকার মধ্যে জানতোড় মেহনত করে প্রয়োজনে জিলায় জিলায় জোড় করে ১ চিল্লা/৩ চিল্লা জামাত ও কসরতের সাথে পায়দল জামাত তৈয়ার করে কাকরাইলে পাঠানোর চেষ্টা করা একান্তই প্রয়োজন। আল্লাহ্পাকের জাতের উপর পুরা উম্মিদ হয় ইন শা আল্লাহ এর দ্বারাই আল্লাহপাক হালাতকে পরিবর্তন করে দিবেন।
এই সংক্রান্ত বর্তমানের কিছু ঘটনা ও পরিণতি আপনাদেরকে অবহিত করছি যে ইজতেমা যাতে সঠিক সময়ে অর্থাৎ ১৮, ১৯, ২০ ইং জানুয়ারী ২০১৯ প্রথম ধাপ ও ২৫, ২৬, ২৭ ইং জানুয়ারী ২০১৯ দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয় ও তদঅনুযায়ী ময়দানের তৈয়ারীর জন্য, সরকারের সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাকরাইল থেকে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হয় এবং নির্বাচনের পর সকল নিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ অবহিত করেন। নির্বাচনের পরপরই কাকরাইল ও ওলামা হযরতদের তরফ থেকে এক প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করলে, নির্বাচন উত্তর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত থাকলেও তাঁর, সঙ্গে ২/১ দিনের মধ্যে সাক্ষাত করে, মৌখিক অনুমতি নিয়ে ইজতেমার যাবতীয় কাজ যথা সময়ে করা হবে বলে আশ্যস্ত করেন। পরবর্তীতে গত ৬ই জানুয়ারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইজতেমা সংক্রান্ত একটি সভার আয়োজন করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সভাপত্তিতে, কাকরাইলের শুরা হাযরাত ও নেতৃস্থানীয় স্থানীয় ওলামা হাযরাতগণের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, সরকারী এক প্রতিনিধীদল দারুল উলুম দেওবন্দ যাবেন, এবং আশা করছি দেওবন্দ থেকে ফেরৎ আসার পর একটি সুবিধাজনক তারিখে ইনশাআল্লাহ্ ইজতেমা হবে।
প্রসংগত উল্লেখ্য যে ইজতেমা বা জোড় এটা ওনওয়ান বা উপলক্ষ মাত্র, যার উদ্দেশ্য লোকদেরকে আল্লাহর রাস্তায় বের করা এবং প্রতিটি মসজিদে মোকামী কাজকে জিন্দা করা। তাই খুরুজের এন্তেযামের সাথে সাথে হালকার মাসিক মসজিদওয়ার জামাতের জোড়ের জরিয়াই প্রতিটি মসজিদে হযরতজি (র:) এর বাতানো তরতিব অনুসারে ৫ কাজকে মজবুত ও জিন্দা করার চেষ্টা করা। তাছাড়া মা-বোনদের মধ্যে নকল হরকত বাড়ানোর জন্য পুরুষদের জরিয়ায় চিল্লা দেনেওয়ালী মা-বোনদের ২ মাসের জন্য বাহির মূলকের, ১০/১৫ দিন দেনে ওয়ালী মা-বোনদের চিল্লার জন্য ও ৩ বার ৩ দিন দেনেওয়ালী মা-বোনদের ১০/১৫ দিনের জন্য তৈয়ার করে আল্লার রাস্তায় বের করার কোশিষ করলে বহুতি ভালো হয় এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি সাথী নিজে ও ঘরের মা-বোনদেরকেও নফল রোজা, নামায, তেলওয়াত, সুরা কাহাফ, দোয়া ইউনূস ও অন্যান্য মাসনুন আমল করে এই ফেতনা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহ্পাকের কছে দোয়ার খুব এহতেমাম করা।
পরিশেষে মরহুম হাজী আব্দুল ওয়াহাব সাব (র:) এর সকল কাম করনেওয়ালা সাথীদের প্রতি যে শেষ ওসিয়ত ছিল “আল্লাহ্পাক আমাদেরকে যে সমস্ত নিয়ামত দান করেছে অর্থাৎ চিন্তা-ফিকির, ক্ষমতা, যোগ্যতা দ্বীনের মোবারক মেহনতের জন্য খরচ করার এর দ্বারাই - আল্লাহতায়ালার সাথে তায়াল্লুক ও তাঁর হাবিব (সা:) এর সহিত মহাব্বত নছিব হবে .........."।
مجھ سے تعلق اور محبت رکھنے والے تمام احباب کو میری یہ وصیت ہے کہ اپنی سوچ و فکر اور استعداد و صلاحیت کو دین کی اس محنت کی سر سبزی اور شادابی کیلیے صرف کریں ۔ اللہ تعالی شانہ آپ سب کو اپنا تعلق اور اپنے جیب سر کی محبت نصیب فرماتے اور کہاحہ حضور متیل کی عالی خد میں لگنے کی توفیق نصیب فرمائے ۔ آمین ۔
আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন।
পরিশেষে মরহুম হাজী আব্দুল ওয়াহাব সাব (র:) এর সকল কাম করনেওয়ালা সাথীদের প্রতি যে শেষ ওসিয়ত ছিল “আল্লাহ্পাক আমাদেরকে যে সমস্ত নিয়ামত দান করেছে অর্থাৎ চিন্তা-ফিকির, ক্ষমতা, যোগ্যতা দ্বীনের মোবারক মেহনতের জন্য খরচ করার এর দ্বারাই - আল্লাহতায়ালার সাথে তায়াল্লুক ও তাঁর হাবিব (সা:) এর সহিত মহাব্বত নছিব হবে .........."।
مجھ سے تعلق اور محبت رکھنے والے تمام احباب کو میری یہ وصیت ہے کہ اپنی سوچ و فکر اور استعداد و صلاحیت کو دین کی اس محنت کی سر سبزی اور شادابی کیلیے صرف کریں ۔ اللہ تعالی شانہ آپ سب کو اپنا تعلق اور اپنے جیب سر کی محبت نصیب فرماتے اور کہاحہ حضور متیل کی عالی خد میں لگنے کی توفیق نصیب فرمائے ۔ آمین ۔
আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন।
ওয়াসসালাম
মাও. মোহাম্মাদ জোবায়ের
পক্ষে, আহলে শুরা- বাংলাদেশ ।
মাও. মোহাম্মাদ জোবায়ের
পক্ষে, আহলে শুরা- বাংলাদেশ ।