ত্রি-মাসিক মাশোয়ারার ফয়ছালাকৃত বিষয় সমূহ, মার্চ ২০১৯
কাকরাইল মসজিদ
৩০শে মার্চ ২০১৯
বিইসমিহি তায়ালা
মোহতারমীন ও মোকারামীন শুরা হাযরাত ও জিম্মাদার সাথীগণ - সকল জিলা ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ ।
উম্মিদ হয় যে, খোদায়ে থাকের ফজল ও করমে খায়ের ও আফিয়াতের সাথে দ্বীনের মেহনতে মশগুল আছেন।
রমযানের খুরুজের মজমার তাহছীনের জন্য কী করণীয়ঃ
যে সমস্ত জেলা সামলাতে পারবেন তাদের রমযানের খুরুজ নিজ জেলা থেকে হবে। জামাতের রোখ কাকরাইল থেকে দেয়া হবে । জামাতগুলোর হেদায়াত ও ওয়াপছী নিজ জেলা থেকে হবে। যারা হেদায়াত ও ওয়াপছীর মোজাকারা শুনতে চান তারা কাকরাইলের সাথে যোগাযোগ করে ৫/৬ জনের জামাত কাকরাইল পাঠাবেন। সে সব ওলামায়েকেরাম সাল শুরু করবেন তারা চিঠিসহ কাকরাইল মসজিদে আসবেন অথবা ১ম চিল্লা নিজ জেলায় দেয়ার পর চিঠি সহ কাকরাইল মসজিদে আসবেন। ঢাকা জেলার রমযানের খুরুজ ২৫শে এপ্রিল (১৮ই শাবান) পর্যন্ত ইন্ শা আল্লাহ কাকরাইল মসজিদ থেকেই হবে। ২৬শে এপ্রিল থেকে ৯ই মে পর্যন্ত খুরুজ কাকরাইলের নজম যেখানে মুস্তাকিল থাকবে সেখান থেকে হবে । জামাতের সাথীর সংখ্যা ১৩-১৫ জনের মধ্যে হওয়া চাই।টঙ্গী ইজতিমার জেলা বন্টন প্রসঙ্গেঃ
আগামী টঙ্গী ইজতিমা ১ম ধাপ ১০, ১১ ও ১২ ই জানুয়ারী ২০২০ ও ২য় ধাপ ১৭, ১৮ ও ১৯শে জানুয়ারী ২০২০ অনুষ্ঠিত হবে ইন্ শা আল্লাহ্ । ইজতিমার জেলার বন্টন ১ম ধাপ ও ২য় ধাপ সংযুক্ত করা হলো।জেলায় বড়দের সফর ও জেলাকে ডাকার ব্যাপারেঃ
যে সমস্ত জেলার বড়দের সফর হবে এবং যে সমস্ত জেলাকে কাকরাইলে ডাকা হবে সে সমস্ত জেলাকে পরবর্তীতে ইন্শাআল্লাহ্ জানানো হবে ।যে সমস্ত ওলামায়েকেরাম কাজের সাথে আছেন ও কাজে জুড়েন তারা শবগুজারীর মওকায় হায়াতুতো ছাহাবা পড়তে পারবেন ।
এলাকার ৫ কাজকে মজবুত করার ব্যাপারেঃ
নিজ জেলার প্রত্যেক মসজিদে ৫ কাজকে মজবুত করার কোশেশ করা। হযরতজী (রহ:) বাতানো ৫ কাজের তরতীব ও পরবর্তীতে সম্মিলিত মাশোয়ারা মোতাবেক ফয়ছালাকৃত (ইউ: ও হালকার মাসিক জোড় ও অন্যান্য) বিষয়গুলো একত্রিত করে লিখিত আকারে জানানো হবে ইন্শাআল্লাহ।নিজ জেলায় পায়দল জামাত চালানোর এহতেমাম করার ব্যাপারেঃ
প্রত্যেক জেলার জিম্মাদার কামকরনেওয়ালা সাথীদের দ্বারা জামাত বানায়ে নিজ জেলায় পায়দল জামাত চালানোর এহতেমাম করলে ভাল হয়।প্রতিটি জেলায় বছরে ৪ মাস লাগানোর জন্য মজমা তৈয়ার করাঃ
কাজের সমস্ত তাকাজা পুরা করার জন্য জেলাতে বছরে ৪ মাস লাগানোর জন্য এক মজমাকে তৈয়ার করার জন্য চেষ্টা করা ।মাস্তুরাত কাজ বাড়ানোর ব্যাপারেঃ
সারা বাংলাদেশের মাস্তুরাতের কাজকে আগে বাড়ানোর জন্য জেলার পুরুষদের কোন মোনাছেব মসজিদে জমা করা। তাদের তরগীব দিয়ে যারা ৩ দিন ৩ বার লাগিয়েছেন তাদের দিয়ে ১০/১৫ দিনের জন্য, যারা ১০/১৫ দিন দিয়েছেন তাদের চিল্লার জন্য ও যারা চিল্লা লাগিয়েছেন তাদের বিদেশ সফরের জন্য জামাত বানিয়ে পর্চার একটি কপি কাকরাইল মসজিদের মাস্তুরাতের নজমে পাঠানো। প্রয়োজনে কাকরাইলের মাস্তুরাত নজমে যোগাযোগ করে মদদ নেয়া যেতে পারে ।সাল লাগানো ওলামা হযরতগণের কাজের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কি করণীয়ঃ
সাল লাগানো ওলামাগণ মহাপুজি এই জন্য তাহাদের আলেম হিসেবে খুব কদর করা, আচার-আচরন, মহব্বত ইত্যাদির দ্বারা আলো বাড়ানো এবং ওলামা হযরতদের ব্যাপারে জবানকে সংযত রাখা। সাল শেষ করে এলাকায় গেলে বিভিন্ন হালত ও জরুরত ঘিরে ধরে এ অবস্থায় তাদের সহযোগিতা করা। তাদের শুধু মিম্বরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সকল তাকাজায় এস্তেমাল করা। এ কথা খেয়াল রাখা যে আমার উসিলায় যদি একজন আলেমও কাজে লাগেন তা সদকায়ে জারিয়া হবে। যারা সালে চলছেন তাদের ঠিকানা নিয়ে সালে চলাকালিন অবস্থায় খোজখবর নেয়া ও নুসরত করা ।নতুন শবগুজারী চালুর বিষয়েঃ
শবগুজারী চালু করা মুফীদ বিষয় কিন্তু এর এন্তেজামের মধ্যে নাজাকাতও রয়েছে। এজন্য জেলার জিম্মাদার সাথীরা থানার শবগুজারির কাওয়ায়েফ তাফাক্কুদ করে রায় কায়েম করে কাকরাইলে পাঠাবেন। অগ্রবর্তীতে জিলা ও থানার জিম্মাদার সাথীদের নিয়ে কাকরাইলের মাশোয়ারায় ফয়ছালা করা হবে।* আগামী ত্রিমাসিক মাশোয়ারা ইনশাআল্লাহ ২৮ ও ২৯ শে জুন, ২০১৯ ইং(২৪শে শাওয়াল ১৪৪০) অনুষ্ঠিত হবে। মাশোয়ারার স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।
ওয়াছালাম
মাওলানা রবিউল হক
আহলে শুরা বাংলাদেশ