টংগীর ইজতেমার পর তাকাজা সমূহ, ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কাকরাইল মসজিদ
তারিখ: ২১/০২/২০১৯
বিইসমিহি তায়ালা

মোহতারামীন ও মোকারামীন আহলে শুরা হাযরাত ও জিম্মাদার সাথীগণ - সকল জিলা

আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্ ।

আল্লাহ্পাকের অশেষ মেহেরবানি যে, বিভিন্ন হালাত থাকা স্বত্তেও টংগীর ইজতেমা আফিয়াতের সাথে করার তৌফিক দান করেছেন। ইজতেমার পরে নিম্ন লিখিত তাকাজা সমূহের উপরে এলাকায় কাজ করার ব্যাপারে কাকরাইলে পরামর্শে তা'য় হয়েছে।

১) আগামী টংগী ইজ্তেমার প্রথমভাগ ১০, ১১ ও ১২ই জানুয়ারী ও দ্বিতীয়ভাগ ১৭, ১৮ ও ১৯ই জানুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে এবং তিন চিল্লাওয়ালা সাথীদের ৫ দিনের জোড় ২৯শে নভেম্বর থেকে ৩ই ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ইন্‌শাআল্লাহ্।

২) টংগী ইজ্‌তেমা থেকে যে সমস্ত দেশী ও বিদেশী জামাত আপনাদের জিলায় পৌছিয়াছে, তাদের মোনাসেব সাথীদের দ্বারা নূসরতের ইন্তেজাম করে কাজ শিখানোর চেষ্টা করা এবং ইজতেমা থেকে যে সব ভাইদের বের হবার এরাদা ছিল কিন্তু কোন ওজরের কারণে বের হতে পারেনি, তাদের কাছে আবার উসুলী গাস্ত করে বের করার চেষ্টা করা। তাছাড়া যে সব ভাইয়েরা ইজ্‌তেমায় এসেছিলেন চাহে শুধু দোয়ার জন্য হলেও, তাদের মসজিদের আমালে জোড়ায়ে ধীরে ধীরে ৩ দিন, ১ চিল্লা, ৩ চিল্লার জন্য বের করার চেষ্টা করা। আপনাদের জিলা/থানা/ইউনিয়ন থেকে যেসব ভাইয়েরা আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছেন, তাদের বাড়ী ঘরের নুসরতের ইনতেজাম করা ।

৩) টংগী ইজ্‌তেমার ওছিলায় সারা দেশে সব তবকার মধ্যে দ্বীনি যে আছরাত (প্রভাব) কায়েম হয়েছে, তা স্থায়ীভবে ধরে রাখার জন্য কাম করনেওয়ালা সাথীগন মহল্লার মসজিদ থেকে জামাত বানিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার খুরুজের তরতীব করা এবং প্রত্যেক সাথী নিজ মসজিদে হযরত মাওলানা এনামুল হাসান সাহেব (রঃ) এর বাতানো তরতীব অনুসারে ৫ কাজের এহতেমাম করা বহুতি জরুরি।

৪) যে সমস্ত ৪ মাসের বাহির মূলকের জামাত ও ২ মাসের মাস্তুরাতসহ জামাত এর তৈয়ার বা বুনিয়াদ হয়েছে তা অতিস্বত্তর ছোয়াদ করে আল্লাহর রাস্তায় বের করার চেষ্টা করা।

৫) প্রতিটি মসজিদে মোকামী কাম মজবুত করার জন্য,

ক) হালকার মাসিক জোড়,

খ) রোজানা আড়াই থেকে আট ঘন্টার মেহনতের সাথী বাড়ানো,

গ) রোজানা সময় দেনেওয়ালা সাথীদের নতুন পুরাতন মিলিয়ে ২/৩ জন করে ছোট ছোট জামাত বানিয়ে মহল্লার গলি গলি/ ঘর ঘর মেহনত করা,

ঘ) ২/৩ জন পুরাতন সাথী ও ৮/১০ জন নতুন সাথীদের নিয়ে প্রতি মাসে ৩ দিন ও প্রতি ৩য় মাসে মাস্তুরাতসহ ৩ দিন সময় লাগানোর এহতেমাম করা জরুরী।

৬) নিজ নিজ জিলা/ ঢাকার শহরে বিভিন্ন তব্‌কা যথা বিচারক, সরকারী চাকুরিজীবি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, ছাত্র, গুরাবা ও বধির ভাইদের জোড় করে অথবা গাস্তের জড়িয়ায় তাদের জেহেন সাফ করা ও এই মহান দাওয়াতের কাজের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করা।

৭) এস.এস.সি ও দাখিল পরিক্ষার্থী ভাইদেরকে পুরাতন সাথী ও অভিভাবকসহ আল্লাহর রাস্তায় বের করার চেষ্টা করা।

৮) মাদ্রাসা মেহনতের জামাত বানানোর জন্য ওলামা হাযরাত ও মোনাসেব সাথীগণ আগামী ২-ই মার্চ শনিবার কাকরাইলে পাঠানোর এহতেমাম করা ।

৯) হজ্ব মেহনতের জামাত বানানোর জন্য মোনাসেব সাথীদের তৈয়ার করে আগামী ২-ই মার্চ শনিবার সকাল ৯.০০ টার মধ্যে কাকরাইলে পাঠানোর এহতেমাম করলে ভালো হয়।

১০) শুরাই নেজামের মাতাহাতে ওলামা হাযরাতগণের ৪ সপ্তাহের বারীতে কাকরাইলের বিভিন্ন নজমের জন্য মোনাসেব সাথী পাঠানোর চেষ্টা করা এবং মাস্তুরাতের নজমের জন্য কাম করনেওয়ালী মাস্তুরাত মাহারাম সহ পাঠানের চেষ্টা করলে ভাল হয়।

১১) এ বছর প্রথম ত্রিমাসিক মাশওয়ারা ইনশাআল্লাহ্ আগামী ২৯ ও ৩০ শে মার্চ শুক্র ও শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে।

আরজগুজার
মাও. রবিউল হক
আহলে শুরা, কাকরাইল মসজিদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url