ছয় নাম্বারের উপর নির্বাচিত চল্লিশ হাদীস এর চমৎকার সংগ্রহ

এখানে চল্লিশটি ছয় নাম্বারের হাদীস আরবী এবারত ও দলিল সহ উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন বা পুরাতন সাথীদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায় অন্যের কাছে শুনা হাদীস কোন তাহকীক ছাড়াই বয়ানের মধ্যে বলতে থাকেন। এসব হাদীসের মধ্যে অনেকগুলোই জাল ও যয়ীফ পর্যায়ের। আগে এসমস্ত হাদীস বলে পার পাওয়া গেলেও বর্তমানে তার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে ওলামায়ে কেরামের সম্পৃক্ততা তাবলীগের সাথে আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই কোনো হাদীস বলার আগে ওলামায়ে কেরামের কাছ থেকে তাহকীক করে নিবেন। এখানে উল্লেখকৃত হাদীসগুলো মুন্তাখাব হাদীস কিতাব থেকে সংগৃহীত।

লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ্

১. مَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مُخْلِصًا دَخَلَ الْجَنَّةَ  

হযরত আবু মুসা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সুসংবাদ গ্রহণ করো এবং অন্যদেরকেও সুসংবাদ দাও, যে ব্যক্তি খাঁটি মনে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" স্বীকার করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং: ১৯৫১৬; মাজমাউয যাওয়ায়েদ)

২. مَنْ رَآنِي فَآمَنَ بِي فَلَهُ التَّبْشِيرُ مَرَّةً، وَمَنْ لَمْ يَرَنِي فَآمَنَ بِي فَلَهُ التَّبْشِيرُ مَرَّاتٍ  

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে এবং আমার ওপর ঈমান এনেছে, তার জন্য একবার মোবারকবাদ। আর যে আমাকে না দেখেও আমার ওপর ঈমান এনেছে, তাকে বারবার মোবারকবাদ। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং: ১২৫৩৫)

৩. تَمَنَّيْتُ أَنْ أَلْقَى إِخْوَانِي، فَقَالَ الصَّحَابَةُ: أَلَسْنَا إِخْوَانَكَ؟ قَالَ: أَنْتُمْ أَصْحَابِي، وَإِخْوَانِي الَّذِينَ آمَنُوا بِي وَلَمْ يَرَوْنِي  

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার ইচ্ছা হয়, যদি আমার ভাইদের সঙ্গে আমার দেখা হতো। সাহাবা (রাযি:) বললেন, আমরা কি আপনার ভাই নই? তিনি বললেন, তোমরা তো আমার সাহাবী। আমার ভাই তারা, যারা আমাকে না দেখেও আমার ওপর ঈমান আনবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং: ১২৯১১)

৪. إِذَا سَرَّتْكَ حَسَنَتُكَ وَسَاءَتْكَ سَيِّئَتُكَ فَأَنْتَ مُؤْمِنٌ  

হযরত আবু উমামা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ঈমান কী? তিনি বললেন, যদি তোমার নেক আমল তোমাকে আনন্দ দেয় এবং তোমার মন্দ কাজ তোমাকে দুঃখ দেয়, তবে তুমি মুমিন। (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস নং: ১৩)

৫. لَوْ تَوَكَّلْتُمْ عَلَى اللهِ حَقَّ تَوَكُّلِهِ لَرُزِقْتُمْ كَمَا يُرْزَقُ الطَّيْرُ، تَغْدُو خِمَاصًا وَتَرُوحُ بِطَانًا  

হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা যদি আল্লাহতায়ালার ওপর এমনভাবে তাওয়াক্কুল করতে শুরু করো, যেমন তাওয়াক্কুলের হক আছে, তবে তোমাদের এমনভাবে রিযিক দেওয়া হবে, যেমন পাখিদের রিযিক দেওয়া হয়। তারা সকালে খালি পেটে বের হয় আর বিকেলে পেট ভরে ফিরে আসে। (তিরমিযী, হাদীস নং: ২৩৪৪)

ছয় নাম্বারের হাদীস
ছয় নাম্বারের হাদীস

মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

১. تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ، لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا: كِتَابُ اللهِ وَسُنَّةُ رَسُولِهِ  

হযরত মালেক ইবনে আনাস (রহ.) বলেন, আমার কাছে এই রেওয়ায়েত পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে গিয়েছি, যতক্ষণ তোমরা এগুলো মজবুতভাবে ধরে রাখবে, কখনো গোমরাহ হবে না। এগুলো হলো আল্লাহতায়ালার কিতাব এবং তাঁর রাসূলের সুন্নত। (মোয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদীস নং: ১৬০১)

২. مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِي عِنْدَ فَسَادِ أُمَّتِي فَلَهُ أَجْرُ شَهِيدٍ  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বর্ণনা করেন যে, আমার উম্মতের ফিতনা-ফাসাদের সময়ে যে ব্যক্তি আমার তরিকাকে শক্তভাবে ধরে রাখবে, সে শহীদের সওয়াব পাবে। (তাবারানী, তারগীব)

৩. لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يَكُونَ هَوَاهُ تَبَعًا لِمَا جِئْتُ بِهِ  

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি ততক্ষণ পূর্ণ ঈমানদার হতে পারে না, যতক্ষণ তার মনের ইচ্ছাগুলো আমার আনা দ্বীনের অধীন না হয়। (শারহুস সুন্নাহ)

৪. كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَى، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، وَمَنْ يَأْبَى؟ قَالَ: مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الْجَنَّةَ، وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ أَبَى  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার সব উম্মত জান্নাতে যাবে, শুধু তারা ছাড়া যারা অস্বীকার করবে। সাহাবা (রাযি:) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! জান্নাতে যেতে কে অস্বীকার করতে পারে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করল, সে জান্নাতে প্রবেশ করল। আর যে আমার নাফরমানি করল, সে নিশ্চয়ই জান্নাতে যেতে অস্বীকার করল। (বুখারী, হাদীস নং: ৭২৮০)

৫. مَثَلِي وَمَثَلُ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِي كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى بَيْتًا فَأَحْسَنَهُ وَأَكْمَلَهُ إِلَّا مَوْضِعَ لَبِنَةٍ، فَجَعَلَ النَّاسُ يَدْخُلُونَهُ وَيَتَعَجَّبُونَ مِنْهُ وَيَقُولُونَ: لَوْلَا مَوْضِعُ هَذِهِ اللَّبِنَةِ، فَأَنَا تِلْكَ اللَّبِنَةُ، وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, আমার এবং আমার আগের নবীদের দৃষ্টান্ত এমন, যেমন এক ব্যক্তি একটি ঘর বানিয়েছে এবং তাতে সব ধরনের কারুকাজ ও সৌন্দর্য তৈরি করেছে, কিন্তু ঘরের এক কোণে একটি ইটের জায়গা খালি রেখেছে। এখন লোকেরা ঘরের চারদিকে ঘুরে দেখে, ঘরের সৌন্দর্যের প্রশংসা করে, কিন্তু এটাও বলে যে এই জায়গায় একটা ইট কেন রাখা হলো না? সুতরাং আমিই সেই ইট এবং আমি শেষ নবী। (বুখারী, হাদীস নং: ৩৫৩৫)

নামায

১. أَوَّلُ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الصَّلَاةُ، فَإِنْ صَلُحَتْ صَلُحَ سَائِرُ عَمَلِهِ، وَإِنْ فَسَدَتْ فَسَدَ سَائِرُ عَمَلِهِ  

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন সবার আগে নামাযের হিসাব নেওয়া হবে। যদি নামায ঠিক থাকে, তবে বাকি আমলও ঠিক হবে। আর যদি নামায খারাপ হয়, তবে বাকি আমলও খারাপ হয়ে যাবে। (তাবারানী, তারগীব)

২. مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ، وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ  

হযরত আমর ইবনে শুয়াইব তার পিতা থেকে এবং তিনি তার পিতা (রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামাযের হুকুম দাও। দশ বছর বয়সে নামায না পড়লে তাদের মারো এবং এই বয়সে তাদের বিছানা আলাদা করে দাও। (আবু দাউদ, হাদীস নং: ৪৯৫)

৩. مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ يُقْبِلُ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ  

হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ যুহানী (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ভালোভাবে ওযু করে, তারপর দুই রাকাত নামায এমনভাবে আদায় করে যে, তার মন আল্লাহতায়ালার প্রতি পুরোপুরি মনোযোগী থাকে, তার আগের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়। (আবু দাউদ, হাদীস নং: ১৭০)

৪. مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ، وَمَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ اللَّيْلَ كُلَّهُ  

হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাযি.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে এশার নামায জামাতের সঙ্গে পড়ে, সে যেন অর্ধেক রাত ইবাদত করল। আর যে ফজরের নামাযও জামাতের সঙ্গে পড়ে, সে যেন সারা রাত ইবাদত করল। (মুসলিম, হাদীস নং: ৬৫৬)

৫. لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِجَمْعِ الْحَطَبِ، ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَتُقَامَ، ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ، ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى قَوْمٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنْهَا فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার ইচ্ছা হয় কয়েকজন যুবককে বলি যে, তারা অনেক কাঠ সংগ্রহ করে আনে। তারপর আমি ঐ সব লোকের কাছে যাই, যারা বিনা ওজরে ঘরে নামায পড়ে এবং তাদের ঘরগুলো জ্বালিয়ে দিই। (আবু দাউদ, হাদীস নং: ৫৪৮)

এলেম

১. خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ  

হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি সে, যে কুরআন শরীফ শেখে এবং শেখায়। (তিরমিযী, হাদীস নং: ২৯০৯)

২. يَا أَبَا ذَرٍّ، لَأَنْ تَغْدُوَ فَتَتَعَلَّمَ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللهِ خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ تُصَلِّيَ مِائَةَ رَكْعَةٍ، وَلَأَنْ تَتَعَلَّمَ بَابًا مِنَ الْعِلْمِ عَمِلْتَ بِهِ أَوْ لَمْ تَعْمَلْ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تُصَلِّيَ أَلْفَ رَكْعَةٍ  

হযরত আবু জর (রাযি.) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন, হে আবু জর, তুমি যদি সকালে গিয়ে কালামুল্লাহ শরীফের একটি আয়াত শিখে নাও, তবে তা একশো রাকাত নফল নামাযের চেয়ে উত্তম। আর যদি তুমি এলেমের একটি অধ্যায় শিখে নাও, চাই তা দিয়ে আমল করো বা না করো, তবে তা হাজার রাকাত নামাযের চেয়ে উত্তম। (ইবনে মাজাহ, হাদীস নং: ২১৯)

৩. كُنْ عَالِمًا أَوْ مُتَعَلِّمًا أَوْ مُسْتَمِعًا أَوْ مُحِبًّا، وَلَا تَكُنْ الْخَامِسَ فَتَهْلِكَ  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তুমি হয় আলেম হও, নয়তো এলেমের তালেব হও, নয়তো মনোযোগ দিয়ে এলেম শোনো, নয়তো এলেম ও আলেমদের ভালোবাসো। পঞ্চম প্রকার হয়ো না, নইলে ধ্বংস হয়ে যাবে। পঞ্চম প্রকার হলো এলেম ও আলেমদের প্রতি শত্রুতা করা। (তাবারানী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ)

৪. مَثَلُ مَنْ تَعَلَّمَ الْعِلْمَ ثُمَّ لَمْ يُعَلِّمْهُ كَمَثَلِ رَجُلٍ كَنَزَ كَنْزًا فَلَمْ يُنْفِقْ مِنْهُ  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এলেম শিখে, তারপর লোকদের শেখায় না, তার উদাহরণ সেই ব্যক্তির মতো, যে ধন-সম্পদ জমা করে, কিন্তু তা থেকে খরচ করে না। (তাবারানী, তারগীব)

৫. مَثَلُ الَّذِي يُعَلِّمُ النَّاسَ الْخَيْرَ وَيَنْسَى نَفْسَهُ كَمَثَلِ سِرَاجٍ يُضِيءُ لِلنَّاسِ وَيَحْرِقُ نَفْسَهُ  

হযরত জুন্দুব ইবনে আব্দুল্লাহ আযদী (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি লোকদের নেক কাজের কথা শেখায় কিন্তু নিজেকে ভুলে যায়, অর্থাৎ নিজে আমল করে না, তার উদাহরণ সেই প্রদীপের মতো, যে লোকদের জন্য আলো দেয় কিন্তু নিজেকে জ্বালিয়ে ফেলে। (তাবারানী, তারগীব)

জিকির

১. أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي، وَأَنَا مَعَهُ إِذَا ذَكَرَنِي، فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي، وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلَإٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلَإٍ خَيْرٍ مِنْهُ، وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ شِبْرًا تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا، وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا، وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি আমার বান্দার সঙ্গে তেমন ব্যবহার করি, যেমন সে আমার সম্পর্কে ধারণা রাখে। যখন সে আমাকে স্মরণ করে, তখন আমি তার সঙ্গে থাকি। যদি সে আমাকে মনে মনে স্মরণ করে, আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি। আর যদি সে মজলিসে আমাকে স্মরণ করে, তবে আমি তার চেয়ে উত্তম মজলিসে, অর্থাৎ ফেরেশতাদের মজলিসে তার আলোচনা করি। যদি বান্দা আমার দিকে এক বিঘত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে এক হাত এগিয়ে যাই। যদি সে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই। (বুখারী, হাদীস নং: ৭৪০৫)

২. لَا يَتَحَسَّرُ أَهْلُ الْجَنَّةِ إِلَّا عَلَى سَاعَةٍ مَرَّتْ بِهِمْ لَمْ يَذْكُرُوا اللهَ فِيهَا  

হযরত মুআজ ইবনে জাবাল (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জান্নাতীরা জান্নাতে গিয়ে দুনিয়ার কোনো জিনিসের জন্য আফসোস করবে না। শুধু ঐ জিনিসের জন্য আফসোস করবে, যা দুনিয়ায় আল্লাহতায়ালার জিকির ছাড়া কাটিয়েছে। (তাবারানী, বায়হাকী, জামে সাগীর)

৩. مَثَلُ الَّذِي يَذْكُرُ رَبَّهُ وَالَّذِي لَا يَذْكُرُهُ كَمَثَلِ الْحَيِّ وَالْمَيِّتِ  

হযরত আবু মুসা (রাযি.) বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহতায়ালার জিকির করে আর যে জিকির করে না, তাদের দুজনের উদাহরণ জীবিত ও মৃতের মতো। জিকিরকারী জীবিত আর যে জিকির করে না, সে মৃত। এক রেওয়ায়েতে এটাও আছে যে, যে ঘরে আল্লাহতায়ালার জিকির করা হয়, তার উদাহরণ জীবিত ব্যক্তির মতো, অর্থাৎ তা আবাদ। আর যে ঘরে আল্লাহতায়ালার জিকির করা হয় না, তা মৃত ব্যক্তির মতো। (বুখারী, হাদীস নং: ৬৪০৭; মুসলিম, হাদীস নং: ৭৭৯)

৪. إِذَا كَانَ رَجُلٌ عِنْدَهُ مَالٌ كَثِيرٌ يَقْسِمُهُ، وَرَجُلٌ يَذْكُرُ اللهَ، فَالذَّاكِرُ أَفْضَلُ  

হযরত আবু মুসা (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি এক ব্যক্তির কাছে অনেক টাকা-পয়সা থাকে আর সে তা বণ্টন করে, আরেক ব্যক্তি আল্লাহতায়ালার জিকিরে মশগুল থাকে, তবে জিকিরকারীই উত্তম। (তাবারানী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ)

৫. سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ  

হযরত এমরান ইবনে হুসাইন (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি প্রতিদিন ওহুদ পাহাড় পরিমাণ আমল করতে পারে না? সাহাবা (রাযি:) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ওহুদ পাহাড় পরিমাণ আমল কে করতে পারে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমাদের প্রত্যেকেই করতে পারে। সাহাবারা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! সেটা কোন আমল? তিনি বললেন, “সুবহানাল্লাহ” বলার সওয়াব ওহুদের চেয়ে বড়। “আলহামদুলিল্লাহ” বলার সওয়াব ওহুদের চেয়ে বড়। “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলার সওয়াব ওহুদের চেয়ে বড়। “আল্লাহু আকবার” বলার সওয়াব ওহুদের চেয়ে বড়। (তাবারানী, বাযযার, মাজমাউয যাওয়ায়েদ)

একরামে মুসলিম

১. حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلَامِ، وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, এক মুসলমানের ওপর আরেক মুসলমানের পাঁচটি হক আছে - সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দেওয়ার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা। (বুখারী, হাদীস নং: ১২৪০)

২. لَيْسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ، إِنَّمَا الشَّدِيدُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, শক্তিশালী সে নয়, যে তার প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে। বরং শক্তিশালী সেই ব্যক্তি, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। (বুখারী, হাদীস নং: ৬১১৪)

৩. مَنْ مَشَى فِي حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ خَيْرًا لَهُ مِنْ اعْتِكَافِ عَشْرِ سِنِينَ، وَمَنْ اعْتَكَفَ يَوْمًا ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللهِ جَعَلَ اللهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّارِ ثَلَاثَةَ خَنَادِقَ، كُلُّ خَنْدَقٍ أَبْعَدُ مِمَّا بَيْنَ الْخَافِقَيْنِ  

হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের কাজের জন্য পায়ে হেঁটে যায়, তার এই কাজ দশ বছরের ইতিকাফের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য একদিনের ইতিকাফ করে, আল্লাহতায়ালা তার ও জাহান্নামের মধ্যে তিনটি খন্দক তৈরি করে দেন। প্রতিটি খন্দক আসমান ও জমিনের দূরত্বের চেয়েও বেশি। (তাবারানী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ)

৪. مَنْ آذَى مُسْلِمًا فَقَدْ آذَانِي، وَمَنْ آذَانِي فَقَدْ آذَى اللهَ  

হযরত আনাস (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে কষ্ট দেয়, সে আমাকে কষ্ট দেয়। আর যে আমাকে কষ্ট দেয়, সে নিশ্চিতভাবে আল্লাহতায়ালাকে কষ্ট দেয়, অর্থাৎ আল্লাহতায়ালাকে অসন্তুষ্ট করে। (তাবারানী, জামে সাগীর)

৫. خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِأَهْلِهِ، وَأَنَا خَيْرُكُمْ لِأَهْلِي  

হযরত আয়েশা (রাযি.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার পরিবারের জন্য সবচেয়ে উত্তম। আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার পরিবারের জন্য সবচেয়ে উত্তম। (ইবনে হিব্বান)

এখলাসে নিয়ত

১. إِنَّ اللهَ لَا يَقْبَلُ مِنَ الْعَمَلِ إِلَّا مَا كَانَ خَالِصًا لَهُ، وَابْتُغِيَ بِهِ وَجْهُهُ  

হযরত আবু উমামা বাহেলী (রাযি.) বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহতায়ালা কেবল সেই আমল গ্রহণ করেন, যা খাঁটিভাবে তার জন্য হয় এবং যাতে শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য হয়। (বুখারী, হাদীস নং: ১৯০৪)

২. مَنْ أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ وَهُوَ يَنْوِي أَنْ يَقُومَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ، فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ حَتَّى أَصْبَحَ، كُتِبَ لَهُ مَا نَوَى، وَكَانَ نَوْمُهُ صَدَقَةً عَلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ  

হযরত আবু দারদা (রাযি.) বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঘুমানোর জন্য বিছানায় যায় এবং তার নিয়ত থাকে যে রাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়বে, কিন্তু ঘুমের কারণে সকালে চোখ খোলে, তার জন্য তাহাজ্জুদের সওয়াব লেখা হয় এবং তার ঘুম তার রবের পক্ষ থেকে তার জন্য দান হয়। (নাসাঈ, হাদীস নং: ১৭৮৪)

৩. إِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْعَبْدَ التَّقِيَّ النَّقِيَّ الْخَفِيَّ  

হযরত সাদ (রাযি.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহতায়ালা সেই বান্দাকে পছন্দ করেন, যে পরহেজগার, বেপরোয়া এবং অজ্ঞাত পরিচয়। (মুসলিম, হাদীস নং: ২৯৬৫)

৪. مَنْ عَمِلَ عَمَلًا يُرِيدُ بِهِ الدُّنْيَا أَوْ رِيَاءَ النَّاسِ، يُفْضَحْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بَيْنَ يَدَيِ الْخَلَائِقِ  

হযরত মুআজ ইবনে জাবাল (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে বান্দা দুনিয়ায় প্রসিদ্ধি বা লোকদেখানোর জন্য কোনো আমল করবে, আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের দিন সব মাখলুকের সামনে তাকে মুনাফিক হিসেবে প্রকাশ করবেন, যার কারণে সে অপমানিত হবে। (তাবারানী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ)

৫. مَا ذِئْبَانِ جَائِعَانِ أُرْسِلَا فِي غَنَمٍ بِأَضَرَّ مِنْ حِرْصِ الرَّجُلِ عَلَى الْمَالِ وَالشَّرَفِ لِدِينِهِ  

হযরত মালেক (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দুটি ক্ষুধার্ত বাঘকে বকরীর পালের মধ্যে ছেড়ে দিলে তারা যে পরিমাণ ক্ষতি করে, মানুষের মালের লোভ ও সম্মানের লিপ্সা তার দ্বীনের তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করে। (তিরমিযী, হাদীস নং: ২৩৭৬)

তাবলীগ

১. غَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ اللهِ أَوْ رَوْحَةٌ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا  

হযরত আনাস (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহতায়ালার পথে এক সকাল বা এক বিকেল দুনিয়া ও দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে উত্তম। (বুখারী, হাদীস নং: ২৭৯২)

২. رِبَاطُ يَوْمٍ فِي سَبِيلِ اللهِ خَيْرٌ مِنْ عِبَادَةِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ عِنْدَ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহতায়ালার পথে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা শবে কদরে হাজরে আসওয়াদের সামনে ইবাদত করার চেয়ে উত্তম। (ইবনে হিব্বান)

৩. بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً  

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দাও, যদিও একটি আয়াত হয়। (বুখারী, হাদীস নং: ৩৪৬১)

৪. مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا، وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلَالَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا  

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি হেদায়াত ও সৎ কাজের দাওয়াত দেবে, সে ঐ সব লোকের আমলের সমান সওয়াব পেতে থাকবে, যারা সেই সৎ কাজের অনুসরণ করবে এবং অনুসরণকারীদের সওয়াব কিছুই কম হবে না। একইভাবে, যে গোমরাহীর দিকে দাওয়াত দেবে, সে ঐ সব লোকের আমলের গুনাহ পেতে থাকবে, যারা সেই গোমরাহীর অনুসরণ করবে এবং এর কারণে তাদের গুনাহ কিছুই কম হবে না। (মুসলিম, হাদীস নং: ২৬৭৪)

৫. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ؟ قَالَ: نَعَمْ، إِذَا كَثُرَ الْخَبَثُ  

হযরত জয়নব বিনতে জাহাশ (রাযি.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমাদের মধ্যে নেক লোক থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন অসৎ কাজ ব্যাপক হয়ে যাবে। (বুখারী, হাদীস নং: ৭০৫৮)

ডিসক্লেইমারঃ এই লেখাটি ২০১৩ সালে সামহোয়্যার ইন ব্লগে প্রকাশ করেছিলাম।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url