ইউনিয়নের মাসিক লম্বা মাশোয়ারায় করনীয় | তাবলীগ জামাতের মাসিক জোড়
প্রথম মজলিশ
মাশোয়ারার গুরুত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে মোজাকারা করা।
প্রত্যেক মসজিদ/গ্রাম(যদি মসজিদ না থাকে) থেকে কারগুজারী শুনা ও সবল মসজিদকে দুর্বল মসজিদের জিম্মাদারী দেয়া।
৫ আমল সম্পর্কে তরগীব ও তরতীব দেয়া (নিম্নবর্ণিতভাবে)।
দৈনিক করণীয় কাজ সমূহ
ঘর ও মসজিদের তালিম (আধাঘণ্টা করে)।
দৈনিক মাশোয়ারা (এর মধ্যে আগের দিনের কারগুজারী শুনা)।
বালেগ মহল্লার প্রতিটি মুসলমান ঘরের প্রত্যেক মুসলমান পুরুষের সাথে মোলাকাত করার উদ্দেশ্যে, দুই থেকে তিনজন সাথীর জামাত বানিয়ে তাদের মেহনতের জন্য এলাকা নির্দিষ্ট করে আড়াই ঘণ্টা ঘর ঘর মেহনত করা।
প্রথম মজলিশের সমাপ্তি ও আযায়েমঃ
প্রথম মজলিশ শেষে সাথীদের মসজিদওয়ার হালকা বানিয়ে বসানো এবং আগামী মাসের জন্য আযায়েম করার জন্য ফরমেট (ছক) দেয়া।
আযায়েম বা নিয়ত সমূহকে পূরা করার জন্য কোরবানী বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দৈনিক সকাল-বিকাল ৮ ঘণ্টা বা কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা দেয়ার জন্য সাথীদেরকে উদ্বুদ্ধ করা।
সাপ্তাহিক করণীয়
প্রথম গাস্ত।
দ্বিতীয় গাস্তের জন্য দিন ও মসজিদ নির্ধারণ করা। যতদিন পর্যন্ত ঐ মসজিদ ৫ আমল ওয়ালা মসজিদে পরিণত না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত (প্রায় ৬ সপ্তাহ) মেহনত করা।
মাসিক করণীয়
সপ্তাহ নির্ধারণ করে এস্তেকামাতের সাথে মাসে ৩ দিন দেয়া।
নিজ মসজিদ থেকে ৩ দিনের জামাত বের করার জন্য আযায়েম করা যা নিচের কাজগুলি করার মাধ্যমে সহজে অর্জন করা সম্ভব হতে পারে:
- দৈনিক ঘর ঘর মেহনত।
- প্রথম গাস্ত।
- দ্বিতীয় গাস্ত।
- সাপ্তাহিক মাস্তুরাতের তালিমে তশকীল।
- বিগত মাসের ৩ দিনের জামাতের ওয়াপেসীর সময় করা আযায়েম অনুসারে মেহনত করার দ্বারা।
প্রতি মাসে ১০ দিন লাগানোর জন্য তরগীব দেয়া। ৩ দিন নিজ মসজিদের জামাতের সাথে অতিরিক্ত ৭ অথবা ৩ দিন নিজেদের সুবিধামত লাগানো যাতে মহল্লার কাজ আগ বাড়ানো যায় ও আযায়েমগুলো বাস্তবায়ন করা যায়।