মহিলাদের হাদীস | মহিলাদের হক ও দায়িত্ব নিয়ে ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস

কানজুল উমাল হাদীস গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত মহিলাদের অধিকার, স্বামীর হক, পর্দা ও জান্নাতের ফজিলত বিষয়ক ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস।

  1. নং হাদীস: তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম যে ঘরওয়ালীর নিকট উত্তম। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম যে মেয়েদের কাছে উত্তম।
  2. নং হাদীস: যে মেয়েদের একরাম করে না সে খারাপ মানুষ এবং যে মেয়েদের অপদস্থ করে সেই খারাপ মানুষ।
  3. নং হাদীস: আপনি বিবিকে সূরা নূর শিখান।
  4. নং হাদীস: মেয়েদের আল্লাহ পাক পাঁজরের হাড় দিয়ে পয়দা করেছেন। যদি সোজা করতে চাও, সোজা হবে না।
  5. নং হাদীস: এক ব্যক্তিকে কিয়ামতের দিন আনা হবে যার কোন নেকী নাই। আল্লাহ পাক বলবেন একে জান্নাতে দাখিল কর। কারণ সে ঘরওয়ালীর সাথে ভাল ব্যবহার করেছে।
  6. নং হাদীস: যে ব্যক্তি খুশি মনে ঘরে দাখিল হয় মহিলা ও খুশির সাথে গ্রহণ করে, আল্লাহ পাক এই খুশির কারণে এক মাখলুক পয়দা করেন যে কিয়ামত পর্যন্ত দোয়া মাগফিরাত করতে থাকে।
  7. নং হাদীস: মানুষের মধ্যে যত হক আছে তার মধ্যে বিবির উপর স্বামীর হক সবচেয়ে বড়। প্রত্যেক ব্যক্তির উপর সবচেয়ে বড় হক তাঁর মায়ের।
  8. নং হাদীস: মেয়েদের এই কথা যদি জানা থাকে স্বামীর হক সম্বন্ধে তাহলে দুপুরের এবং রাত্রের খানা স্বামী না খাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে।
  9. নং হাদীস: হুজুর (সাঃ) বলেন, যদি আমি হুকুম করতাম কাউকে সিজদা করার তাহলে মেয়েদের বলতাম তারা যেন আপন স্বামীকে সিজদাহ করে।
  10. নং হাদীস: হুজুর (সাঃ) বলেন, ঐ জাতের কসম যার হাতে আমার জান, মহিলা ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারবে না যে পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে।
  11. নং হাদীস: স্বামীর বিনা অনুমতিতে স্বামীর উপস্থিতিতে মহিলার নফল রোজা রাখা জায়েজ নাই।
  12. নং হাদীস: বিবি যদি স্বামীর অনুমতি ব্যতিত রোজা রাখে, ঐ স্বামী যদি খেদমতের জন্য ডাকে তখন সে ওজর করে, এর জন্য তার তিনটি কবিরা গুনাহ হবে।
  13. নং হাদীস: যে মহিলা স্বামীর হুকুম ছাড়া ঘরের বাহিরে যায় তার প্রতি আল্লাহ এবং ফেরেস্তাদের পক্ষ থেকে লানত, যতক্ষণ সে ফিরে না আসে।
  14. নং হাদীস: বিবির জন্য স্বামী হয় জান্নাত, না হয় দোযখ।
  15. নং হাদীস: যে মহিলা আপন স্বামীর এতায়াত করে, হক আদায় করে, স্বামীর শোকরিয়া করে এবং নিজের নফস ও স্বামীর মালের খেয়ানত না করে, ঐ মহিলা এবং শহীদের মধ্যে জান্নাতে এক দরজা ব্যবধান হবে।
  16. নং হাদীস: যে মহিলা স্বামী ব্যতিত অন্যকে উদ্দেশ্য করে আতর লাগায়, এটা আখেরাতে আগুন হবে এবং দুনিয়াতে লজ্জিত হবে।
  17. নং হাদীস: যে মহিলা খুশবু লাগিয়ে ঘর থেকে বের হয় এবং কোন মজলিশের পাশ দিয়ে যায়, সে মহিলা বদকার এবং যারা দেখবে তারা জিনাকার হবে।
  18. নং হাদীস: যে মহিলা বিনা কারণে স্বামীর কাছে তালাক চায়, ঐ মহিলাের জন্য জান্নাতের সুঘ্রানও হারাম।
  19. নং হাদীস: আল্লাহ তায়ালার লানত ঐ মহিলার উপর যে পুরুষের সুরত অনুকরণ করে এবং ঐ পুরুষের উপর লানত যে মহিলাের সুরত অনুকরণ করে।
  20. নং হাদীস: নারী যখন ঘর থেকে বের হয়, শয়তান তার সাথে হয়ে যায়।
  21. নং হাদীস: হুজুর (সাঃ) বলেন, জাহান্নামে আমি মহিলাদেরকে বেশি দেখেছি কারণ তারা স্বামীর নাশোকরী বেশি করে। যদিও সারা জীবন স্বামী ভাল ব্যবহার করে, তবে যদি স্বামীর না পছন্দনীয় কোন কিছু দেখে মহিলারা বলেন, আমি সারা জীবন আপনার নিকট থেকে ভাল কিছু পাইনি।
  22. নং হাদীস: মুমিন মহিলা যখন গর্ভবতী হন তাহলে তার জন্য রোজাদার, রাতে তাহাজ্জুদ পড়ার, ইহরাম বাঁধনেওয়ালা এবং মুজাহিদ যারা আল্লাহর রাস্তায় চলে তাদের সওয়াব তার জন্য লিখা হবে। যতদিন পর্যন্ত বাচ্চা পয়দা না হয়। প্রথমে বাচ্চাকে যে দুধ পান করানো হয়, প্রতি ফোটার বিনিময়ে ইনসান জীবিত করার নেকী লেখা হয়। বাচ্চা প্রসবকালীন কষ্টের বিনিময়ে এত নেকী দেওয়া হবে কোন মাখলুক তা জানবে না।
  23. নং হাদীস: হুজুর (সাঃ) বলেন, স্বামী চাচ্ছেন না কিন্তু স্ত্রী চাচ্ছেন গর্ভবতী হোক, পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে রাজি হয়ে যায়, এর সওয়াব এত বেশি হবে যে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানবে না।
  24. নং হাদীস: বাচ্চা হবার পর যদি মায়ের বুকে দুধ বের না হয় এবং অন্য কারও দুধ না পান করায়, তবে পরে দুধ আসার পর প্রতি ফোটার বিনিময়ে একটা নেকি লেখা হয়। বাচ্চার অসুবিধার কারণে মা যদি ঘুমাতে না পারে, প্রতি রাতের জন্য ৭০ জন গোলাম আযাদের নেকী লেখা হয়।
  25. নং হাদীস: যে মহিলা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজানের রোজা রাখে, স্বামীর এতায়াত করে, নিজের হায়া রক্ষা করে, সে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে।
  26. নং হাদীস: একজন বদকার মহিলা এক হাজার বদকার পুরুষের সমান। একজন নেক্কার মহিলা ৭০ জন নেক্কার পুরুষের (সিদ্দিকিন) বরাবর।
মহিলাদের হাদীস
মহিলাদের হাদীস
Previous Post